চীনের সঙ্গে বিএনপির ‘অভূতপূর্ব সম্পর্ক’ স্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব সবসময় ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে আমরা চীনে এসেছি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আমরা অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব সবসময় ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে আমরা চীনে এসেছি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আমরা অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি।
ফখরুল আরও বলেন, আমি আপনাদের জানাতে চাই, চীনের সঙ্গে একটা অভূতপূর্ব সম্পর্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে বিএনপির।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্টকে গুরুত্ব দেবে। একইসঙ্গে তারা বলেছে, এই ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জনগণকেই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
দুটি বৈঠকে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
বিএনপির প্রতিনিধি দল পরে ‘মিউজিয়াম অব কমিউনিস্ট’ এবং ঐতিহাসিক গ্রেট ওয়াল পরিদর্শন করে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সম্মানে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের দেওয়া এক অনুষ্ঠানেও মহাসচিবসহ নেতারা যোগ দেন।