এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত লড়াই করেও সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেলেও বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাঠে ছিলেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। পুরো ম্যাচে ৫৮টি সফল পাস, ৮টি বল কাড়ার পাশাপাশি অন্তত তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। শুধু রক্ষণে নয়, মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণেও রাখেন সরব উপস্থিতি।
ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় হামজা লেখেন, ‘আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, তা হয়নি! কিন্তু দল ও জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি! আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, কারণ এটা তো মাত্র শুরু। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাব, যেখানে পৌঁছাতে চাই! ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। দেখা হবে অক্টোবরে।’
প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তির পর এই ম্যাচেই প্রথমবার জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্যালারি প্রায় পূর্ণ ছিল। জাতীয় দলের খেলা দেখতে হাজির হয়েছিল প্রায় ২৫ হাজার দর্শক। বাহিরেও ছিল হাজার হাজার দর্শক। এমন আবহে ফুটবলে আগ্রহের জোয়ার তৈরি হলেও শেষ বাঁশির পর বিষাদ ছড়ায় স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে সারাদেশে ।
উল্লেখ্য, ২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে এই মুহূর্তে সব দলেরই বাকি আছে ৪টি করে ম্যাচ। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দলই এখান থেকে এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। পূর্ব এশিয়ার দেশটি যদি বাকি সব ম্যাচেই জেতে তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ অর্জন করতে পারবে ১৩ পয়েন্ট। ভারতেরও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ১৩।