বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
দক্ষিণ এশিয়ায় দূষিত বাতাসে শ্বাস নিয়ে বছরে ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে: বিশ্বব্যাংক রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ইসির চট্টগ্রামে সাড়ে চার কোটি টাকার ইয়াবাসহ একজন আটক তারেক রহমানকে ৩০০ ফিটে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল পাস ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প:মার্কিন সাংবাদিক কার্লসন ২০২৫ এ ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন, দাবি রাশিয়ার ফেনীতে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে আগুন এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রসচিব

মান্নাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

বগুড়ার শিবগঞ্জের আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন, জাল স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা প্রকাশ্যে উপেক্ষার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক পিএলসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাজাহান কবির এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ৩৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অভিযোগে গত ১১ ডিসেম্বর মিল্লাত হোসেন নামের এক ব্যক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তার স্ত্রী ইসমত আরাসহ যুক্তরাষ্ট্রের চলে যান। এরপরও ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেওয়া বোর্ড রেজুলেশনে তাদের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের অফিসে উপস্থিত থেকে সভায় অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষরের তথ্য দেখানো হয়।

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বড়গোলা শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়, যা সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে। তবে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা হয়েছে বলে খোদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠিতে লিখেছে। এই মামলায়, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খানসহ ব্যাংকটির ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়াও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্নাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশ পাওয়া প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, তারা আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।-দেশ


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর