রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানসহ ৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত । অন্যরা হলেন- মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০) ও শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার।
আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন শহীদ খানের আইনজীবী কামরুল হোসেনসহ চার জনের আইনজীবী পৃথকভাবে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিজ বাসা থেকে শহীদ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সে দিন সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)তে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই একদল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক সময় অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম।