মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, অন্যতম সংগঠক, বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ.কে. খন্দকার) মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবার-পরিজনের মতো তিনিও গভীরভাবে সমব্যথী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে এ কে খন্দকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ কে খন্দকার ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের কারণে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রতি তার মমত্ববোধ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল করিম খন্দকার (এ.কে. খন্দকার)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।