শনিবার বিকেলে নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক কামাল হোসাইন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। নেত্রকোনা আদালত পুলিশের পরিদর্শক-১ মো. মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেল চারটার দিকে শুরু হয়ে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত রাজীব তালুকদার উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে জবানবন্দি দেওয়া যুবক একই ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ওই ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ সড়কের পাশ থেকে রাজীবের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই যুবককে আটক করা হয়। পরে নিহত রাজীবের স্ত্রী মিনা রানী তালুকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। তিনি বলেন, নিহত রাজীব এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি চুরি ও মাদক মামলা আছে। রাজীব বিবাহিত হলেও এলাকায় বিভিন্ন নারীদের উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তিনি আসামির স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রাজীবের ব্যবহৃত স্মার্টফোনসহ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’