বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন মনোনয়ন কেন্দ্র করে সহিংসতা,চট্টগ্রামের বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার দেশে ফিরলেন জামায়াত আমির ৬৩ আসনের বেশিরভাগ শরিকদের জন্য রেখেছে বিএনপি ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবারও পেলেন না বিএনপির মনোনয়ন, যা বললেন সংগীতশিল্পী মনির খান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের সবাই দেশপ্রেমিক দলকে ভোট দেবে: মির্জা আব্বাস ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত

মুনতাসীর মামুনের নিয়োগ বাতিল করলো চবি

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫০ অপরাহ্ন

অর্পিত দায়িত্ব পালন না করার কারণে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ বাতিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চের পর থেকে তিনি যে অর্থ নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই পর্যন্ত মুনতাসীর মামুনের ব্যাংক হিসাবে সম্মানী পাঠানো হয়েছে। সে হিসাবে তাকে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।

জানা গেছে, গত ১৯ অক্টোবর মুনতাসীর মামুনকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, চলতি বছরের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত এবং ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬২তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ থেকে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, গবেষণা, প্রবন্ধ রচনা, কর্মশালা আয়োজন, সেগুলোর কোনোটিই তিনি পালন করেননি। অথচ প্রতি মাসে সম্মানী নিয়েছেন। সে কারণেই সিন্ডিকেট সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটির ষষ্ঠ সভায় দায়িত্ব পালন না করেও দেড় বছরের বেশি সময় বেতন-ভাতা ভোগের অভিযোগ ওঠে মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে। সভায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ মার্চের পর থেকে তিনি কোনো গবেষণা, প্রবন্ধ বা বক্তৃতা আয়োজনের প্রমাণ দিতে পারেননি।

বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি ছয় মাসে চেয়ারকে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হয় এবং বছরে অন্তত দুটি প্রবন্ধ রচনা ও চারটি বক্তৃতা আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে এসব দায়িত্ব পালনের কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, জাদুঘর বা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাওয়া যায়নি। এরপর তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি লিখিত উত্তর দিলেও তাতে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়নি।

চুক্তি অনুযায়ী, তিনি প্রথম গ্রেডের অধ্যাপকের মর্যাদা ও মাসিক ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বেতন-ভাতা পেতেন।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর