ঘরের মাঠে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হারের শোধ নিলো চিটাগাং কিংস। বৃহস্পতিবার গ্রাহাম ক্লার্কের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে এই আসরে তৃতীয়বার দুইশ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। আগের দেখায় খুলনার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছিল চিটাগং, এবার তারা ২০১ রানের টার্গেট দিয়ে ৪৫ রানে হারালো মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
পাঁচ ম্যাচে টানা চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠলো চিটাগং। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ওঠা ফরচুন বরিশাল নামলো তিনে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট পেয়েছে। চিটাগং ও বরিশাল দুই দলই টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের (১৪) চেয়ে ৬ পয়েন্ট পেছনে। টানা দুটি ম্যাচ জিতে বিপিএলে দারুণ শুরু করেছিল খুলনা, তারা হারলো টানা চার ম্যাচ। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে তারা।
বৃহস্পতিবার বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪৫ রানে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে চিটাগাং। ওই রান তাড়ায় নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় চিটাগাং কিংস। ৭ বলে ১০ রান করে আবু হায়দার রনির বলে ক্যাচ দেন উসমান খান। এরপরই ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। ২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ইমন।
তবে রীতিমতো ঝড় তোলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। তিনি তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ৫০ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন ক্লার্ক। ১৩ বলে ১৬ রান করেন শামীম হোসেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে তিন উইকেট করে পান সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।
রান তাড়ায় নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। ৩১ বলে দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন দারউইশ রাসূলী। ২০ বলে ২৫ রান করেন নাওয়াজ। চিটাগাংয়ের হয়ে তিন উইকেট নেন আরাফাত সানি।