আজ শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন।
৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তদন্ত ও বিচার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ড. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে।
এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল দশটায় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের কাকরাইল মোড়ে সমাবেশ করার কথা থাকলেও তা শুরু হয় এক ঘণ্টা পর।
কারণ হিসেবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, টানা রাজপথে অবস্থান করায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বসবে গণঅনশনে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া রাজপথ থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে যাবে না তারা। এতে যদি সরকারি কোনো এজেন্সির লোক তুলে নিয়ে যায়, তবু আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এই শিক্ষক।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ মে) দুপুরে তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ নিয়ে যাওয়ার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
জবি’র চার দফা হলো— ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।