আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বিএসআরএফ (বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম)-এর সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংলাপে দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, নির্বাচন এবং গণমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে সরকার পক্ষের অবস্থান তুলে ধরেন প্রেস সেক্রেটারি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আগামী পাঁচ-ছয় দিন সরকারের জন্য খুবই ক্রুশিয়াল (গুরুত্বপূর্ণ) টাইম। এই পাঁচ-সাত দিনে বোঝা যাবে, আমরা কোথায় যাচ্ছি।’
তবে নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ের কথা বলেছেন, তার মধ্যেই হবে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান।’
শফিকুল আলম বলেন, “একটি ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতি থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করেছে সরকার। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি কমছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন স্থিতিশীল। পুলিশের মধ্যে ধীরে ধীরে মনোবলও বাড়ছে।”
তিনি বলেন, “আগের সরকার বিদেশিদের কাছে দেশের পররাষ্ট্রনীতি কার্যত বন্ধক রেখেছিল। বর্তমান সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে। ভারতসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগোচ্ছে।”
তবে তিনি আরও বলেন, “যেসব গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়মিত বেতন দিতে পারে না, সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ এসব মাধ্যম থেকেই ভুল ও অপতথ্য ছড়ানো হয়।” তিনি দাবি করেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো—সরকার কাউকে চাপ দিয়ে কোনো নিউজ করায়নি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট—জিরো টলারেন্স।”
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অপরাধকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়ে বর্তমান সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। প্রমাণ পেলে যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’