ভারতের দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় চারপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে গেছে এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ‘এটি একটি খুব শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল।’
দৃশ্যাবলিতে দেখা গেছে, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে, একটি গাড়ি পুরোপুরি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে, আরেকটির কাচ ভাঙা, এবং একজন আহত ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছেন।
দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ‘লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১ এর কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।’
ঘটনাস্থলে প্রায় ২০টি অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করেছে।
বিস্ফোরণের প্রকৃতি এখনও জানা যায়নি। ফরেনসিক ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিস্ফোরণের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য।
লাল কেল্লা বা লালকোঠা পুরনো দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত এবং এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদ থেকে বিশাল আগুনের বল দেখেছি। ভীষণ শব্দ হয়েছিল। বিস্ফোরণে ভবনের জানালা কাঁপতে লাগল।’ আরেকজন বলেন, ‘আমি গুরুদ্বারায় ছিলাম, তখন খুব জোরে শব্দ শুনলাম। আমরা বুঝতে পারিনি কী হচ্ছে, শব্দটি খুব তীব্র ছিল।’
এ ঘটনা সেইদিনের সঙ্গে মিলেছে, যখন হরিয়ানার ফারিদাবাদে একটি ভাড়ার বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার ড. মুজাম্মিল শাকিল ভাড়া করেছিলেন। তিনি ‘সাদা কলার’ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মূল সংযোগ হিসেবে উঠে এসেছেন।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা জম্মু ও কাশ্মীর এবং ফারিদাবাদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত কয়েক দিনে ২,৯০০ কেজি বেশি বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করেছে। হরিয়ানার ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান চলছিল গত ১৫ দিন ধরে।