লাওসের জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটে স্বপ্না রানীর দূরপাল্লার শট রুখে দেন পূর্ব তিমুর গোলরক্ষক হালিনা মার্চি। ৮ মিনিটে স্বপ্নার ফ্রিকিক থেকে গোলের সুযোগ ছিল তৃষ্ণা রানী ও নবীরণের সামনে। কিন্তু দুজনের কেউই বল ছুঁতে পারেননি। উল্টো পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে তিমুর।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন তৃষ্ণা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন তিনি। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই উদীয়মান স্ট্রাইকার। ওই গোলে দুর্দান্ত সহায়তা দেন সাগরিকা, যিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল বাড়ান তৃষ্ণার জন্য। ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা।
৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত শটে বল জড়ান জালে। এর আগে লাওসের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। শেষ মুহূর্তে মুনকি আক্তারের গোলের পর রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৬ এবং গোল ব্যবধান ১০।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচটিতে জয় পাওয়া কঠিন হলেও গোল ব্যবধান ঠিক রেখে রানার্সআপ হওয়াই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্সআপের তালিকায় থাকলেই মূল পর্বে খেলার সুযোগ মিলবে বাংলাদেশের।