৬৩ আসন খালি রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, তার অধিকাংশ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের ছেড়ে দিচ্ছে দলটি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি -এনসিপির জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছে। কয়েকটি আসনে দলীয় একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলের নীতিনির্ধারকরা।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ১৬ বছর পর সারা দেশে বইছে নির্বাচনী আমেজ। সেই নির্বাচনী আমেজে নতুন চমক জুগিয়েছে বিএনপি। ঘোষণা দিয়েছে ২৩৭ আসনের দলীয় প্রার্থী। বাকি ৬৩ আসনের অধিকাংশ রাখা হয়েছে আন্দোলনের জোট শরীকদের জন্য।
আসনগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, -ঢাকা-১০, ঢাকা-ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭,ঢাকা- ১৮ ও ঢাকা-২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গণফোরাম জন্য ছাড় দিতে পারে ঢাকা-৭ ও নরসিংদী-৩ আসন। যেখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারে সুব্রত চৌধুরী ও এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক।
ঢাকা-৭ আসন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হককে দেয়া হতে পারে, এমন আলোচনাও আছে। ঢাকায় না করে তিনি বাগেরহাট-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে পটুয়াখালী-৩ আসনই দেওয়া হচ্ছে। ঝিনাইদহ-২ পাচ্ছেন তার দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
দুইটি আসন ছাড়ের সবুজ সংকেত পেয়েছে এলডিপিও। সে হিসেবে, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী হতে পারে দলের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বা তার ছেলে ওমর ফারুক।
কুমিল্লা-৭ আসনে লড়বেন দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। এছাড়া, পিরোজপুর-১ আসনে সবুজ সংকেত পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদাকে ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছে বিএনপি।
ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের পেছনে ফেলে সবুজ সংকেত পাচ্ছেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
এদিকে, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে লড়তে পারেন জেএসডির আসম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব। খালি আছে ঝালকাঠি ১ আসনও। একইভাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি ও হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিবের জন্য খালি আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন।
জোট ও আসন বণ্টনের হিসাব-নিকাশ এখনও শেষ হয়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টি -এনসিপির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিএনপির আলোচনা চলছে বলেও জানা গেছে। তাদেরকে এখন পর্যন্ত আটটি আসন ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকার অন্তত দুইটি আসন রয়েছে।-৭১