২০২৫ এর সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এসব দাবির কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৯ মাস অতিক্রম করে ১০ মাসে পড়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার দেশকে স্থিতিশীল করতে পারেনি। ঢাকা শহরে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন সরকারের ওপর মানুষের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ।তাছাড়া সরকার তার ১০ মাসে এসেও এখনও কার্যকর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেউ কেউ। যখন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় সব দলের মতামত নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে নির্বাচনকে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে নিয়ে যাওয়া। নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করতেই কেউ কেউ এমন দিবাস্বপ্ন দেখছে।
গণঅধিকার পরিষদের পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছে–
১। শেখ হাসিনার রাষ্ট্র দখলের আইন প্রয়োগ করে প্রশাসক নিয়োগ চলবে না।
২। অবৈধ আইনে নিয়োগ করা প্রশাসকদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।।
৩। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু করতে হবে; আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
৪। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপদেষ্টা ও সরকারের সব দফতর থেকে এনসিপির ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে ।
৫। করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন– গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। আরও উপস্থিত ছিলেন– গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুজ জাহের, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।