রাজধানী ঢাকায় আলাদা স্থান থেকে এক নারী ও দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ভাটারা ও সবুজবাগ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মরদেহগুলো উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ভাটারা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন রায়হানের (৩২) গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ছাদে চিলেকোঠায় থাকতেন।
ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চিলেকোঠার ওই রুমটিতে থাকতেন আল-আমিন। সোমবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে বাড়িটির দারোয়ান বিকল্প চাবি দিয়ে রুম খুলে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সে। পরে থানায় খবর দিলে রাত পৌনে ১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, সবুজবাগের আহমদবাগ এলাকার ৩৩/ডি নম্বর বাড়িটির তৃতীয় তলায় থাকতেন গৃহিণী সিমি আক্তার (২০)। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নাম মুরাদ হোসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকার ৬ নম্বর রোডের আবু সাইদের টিনশেড বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গাড়িচালক গাড়িচালক ইপুর (২৫) মরদেহ। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, ইপুর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. রবিউল ইসলাম। দক্ষিণগাঁওয়ের বাড়িটিতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার রাতে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কুলসুমের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর নিজেই রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে শীতের চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় সোমবার দিবাগত ৪টার দিকে।