অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেখামাত্র গুলি করে (ব্রাশফায়ার) হত্যার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি বলেছেন, আমার এ নির্দেশনা শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিএমপির সব থানা-ফাঁড়িতে দায়িত্বরতসহ সকল পুলিশ সদস্যদের বেতার (অয়্যারলেস) বার্তায় কমিশনার মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেন।
ওয়্যারলেস বার্তায় সিএমপি কমিশনার বলেন,‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’ এছাড়া কমিশনারের বার্তায় টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শিশা শটগান, দুটি গ্যাস গান এবং টিম ইনচার্জদের নাইন এমএম পিস্তল বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থায়ী চেকপোস্ট বাড়িয়ে ৭টি থেকে ১৩টি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বার্তায় তিনি পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার ও দণ্ডবিধির বিধান স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, সব দায়-দায়িত্ব তিনি নিজে গ্রহণ করবেন।
নির্দেশনার কথা স্বীকার করে কমিশনার বলেন, হ্যাঁ, আমি আমার সদস্যদের এ ধরনের একটা নির্দেশনা দিয়েছি। আপনারা জানেন, ২০২৪ সালের ৬, ৭ ও ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশের অস্ত্র লুট হয়েছে। ফলে অনেক অস্ত্র বাইরে চলে গেছে। এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে যায়নি কিংবা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না, সেটা আমরা নিশ্চিত নই।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে নির্বাচনি গণসংযোগে যে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে যে অটোমেটিক পিস্তল ব্যবহার হয়েছে সেটাও পুলিশের অস্ত্র হতে পারে। আমরা যদি অস্ত্রটা উদ্ধার করতে পারতাম, তাহলে বোঝা যেত সেটা আমাদের কি না। এ প্রেক্ষাপটে আমি নির্দেশনা দিয়েছি যে, যে বা যারা অস্ত্র নিয়ে হত্যা করতে উদ্যত হবে তাকে যেন গুলি করে মেরে ফেলা হয়। এটা দণ্ডবিধির ৭৫, ৭৬, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় উল্লেখ আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন খোন্দকারাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিতে নিহত হন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। ওই ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ আহত হন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে সিএমপি কমিশনার একইভাবে বেতার বার্তায় পুলিশের কোনো টহল দলের সামনে কিংবা অভিযানের সময় কেউ অস্ত্র বের করলে আত্মরক্ষায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।