আওয়ামী লীগ করলেও যারা জুলুম বা অপরাধে সম্পৃক্ত হয়নি তাদের সঙ্গে জুলুম করা যাবে না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
আজ শনিবার (৫ জুলাই) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে রাশেদ খান বলেন, কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় লাইভ ভিডিও দেখলাম, চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়ের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে স্লোগান শুরু করেছে কতিপয় লোক! আওয়ামীলীগের বিচার বা যারা আওয়ামীলীগের মধ্যে অপরাধী ছিলো, তাদের বিচারের দাবি জানানো যেতে পারে। কিন্তু আওয়ামীলীগ করলেও জুলম বা অপরাধে সম্পৃক্ত হয়নি, তাদের সাথে জুলম করা যাবেনা। আর পরিবারের নিরপরাধ লোকজনকেও হয়রানি করা যাবে না।
তিনি আরও বলে, বিয়ে একটি পবিত্র বিষয়। বিয়ের স্থলে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, বিশৃঙ্খলা করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। বিয়ের স্থলে কোন অপরাধী থাকলে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করতে পারে। কিন্তু সরাসরি বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা, মব, স্লোগান ইত্যাদি কর্মকাণ্ড নতুন সমাজব্যবস্থা তৈরির পথে অন্য রায় হয়ে দাঁড়াবে।
আওয়ামী লীগের পরিবারের কেউ বিয়ে করতে পারবে না, অনুষ্ঠান করতে পারবেনা, সমাজে থাকতে পারবেনা, এমন সংস্কৃতি গড়ে উঠলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে বলেও ওই পোস্টে জানান।
রাশেদ খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে সমাজে শৃঙ্খলা ও সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে গণঅভ্যুত্থানের স্বাদের চেয়ে বিস্বাদে ছেয়ে যাবে বাংলাদেশ।
গতকাল বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে এইধরনের মব সৃষ্টির ঘটনা বন্ধ হতে পারে। অন্যথায় মবের নামে সমাজে যে হয়রানি শুরু হয়েছে, এমন চলতে থাকলে আমরা কখনোই অগ্রসর ও সভ্য জাতিতে পরিণত হতে পারবো না।