স্বৈরতান্ত্রিকভাবে চাকরিচ্যুত এবং ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল ও মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে বসুন্ধরায় গ্রামীণ ফোনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুতরা।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ৪ শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচি শুরু করেন।
চাকরিচ্যুতরা তাদের ‘ন্যায্য পাওনা আদায় চাই, কারও দয়া নয়’, ‘জিপি ম্যানেজমেন্টের দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, ৫ শতাংশ মুনাফা দিবি’, ‘গ্রামীণফোনের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ম্যানেজমেন্টের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বকেয়া না দিলে, পিঠের চামড়া থাকবেনা রে, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সাবেক কর্মকর্তা ফাহিম হাসান বলেন, সরকারের শত শত কোটি টাকা কর ফাঁকি ও গ্রাহক ঠকানো গ্রামীণফোন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের মনস্টার ভাবে। তারা কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং আগে কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই নিজেদের খেয়ালখুশি মতো অবৈধ ও স্বৈরতান্ত্রিকভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। তারা হঠাৎ করে ই-মেইল পাঠিয়েও একদিনেই অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এখন শত শত চাকরিচ্যুত পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সুত্রমতে, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল, মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবি এবং শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান এর বক্তব্য জানতে উনার মোবাইল নম্বরে বারবার কল দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে জিপি হাউসের ভেতরে ও সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।