ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে হলের সিট নবায়নের ধার্যকৃত ফি-কে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজশিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার আগে ঘটনার সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন মেহেদী হাসান শিমুল (২০), আল আমিনসহ (১৮) অজ্ঞাত ২০ জন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহত সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ আমান জানান, হলের সিট নবায়ন ইস্যুতে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন দিনের জন্য কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ-সমর্থিত শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের পক্ষের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-সমর্থিত শিক্ষার্থীরা ছিল। তারা কলেজে উত্তেজনা শুরু করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমান আশিকসহ অন্যরা আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তপূর্বক জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।