ওড়িশায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে নতুন নাগরিকদের স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য এই আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া ৩৫ জন অভিবাসীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের সনদ তুলে দিয়েছেন— ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। গত বৃহস্পতিবার এই সনদ বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, এর মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরো প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অন্যদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ভারতের শিলচরের সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল (এফটি) সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব জানান, ‘ব্যানার্জি’ পদবি ব্যবহারকারী ওই নারী ২০০৭ সালে পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন। সে সময় তার সঙ্গে শ্রীভূমি জেলার (সাবেক করিমগঞ্জ) এক যুবকের পরিচয় হয়। পরে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই থেকে যান।
দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। গত বছর সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন।