শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
শাওন ও সাবেক এডিসি নাজমুলসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হলেন রুহুল আলম সিদ্দিকী ফিলিস্তিনের গাজায় ১৯ মাসে ১৭ হাজারের বেশি শিশু নিহত : জাতিসংঘ মানবতাবিরোধী অপরাধ;গ্রেফতারি ক্ষমতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা- প্রসিকিউটর ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে বড় দেশ : মাহফুজ আলম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন গণঅভ্যুত্থানে সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করলো সেনাবাহিনী গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: আইএসপিআর ড. ইউনূস পদত্যাগ করবেন নাঃ বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ

শাওন ও সাবেক এডিসি নাজমুলসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৫:০০ অপরাহ্ন

হত্যাচেষ্টা-মারধর মামলায় নন্দিত কথা সাহিত্যিক মরহুম হুমায়ুন আহমেদের সহধর্মিণী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। তারা এদিন আদালতে হাজিরা দেন। অন্য ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রলোভন দেখিয়ে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন মো. আলী আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যা তিনি গোপন করেন। তার আগের একটি পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

পরবর্তীতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান।

এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল।

সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এ সময় ডিবি হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর