মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তাদের জি২০ এজেন্ডা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। বহুপাক্ষিকতা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক পশ্চাদপসরণের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনও এড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, যা বিশ্ব শৃঙ্খলাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
২২-২৩ নভেম্বরের এই অনুষ্ঠানের প্রক্কালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি হবে তাদের জন্য ক্ষতিকর।
জি২০-এর ১৯টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশ বিশ্বব্যাপী মোট জিডিপি’র প্রায় ৮৫ শতাংশ ও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়নও এর অন্তর্ভুক্ত।
রিপাবলিকান নেতা বিশ্ব উষ্ণায়ন সীমিত করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক প্যারিস চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বেশ ক’টি বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর একতরফা শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প একাধিক বিষয়ে সাব-সাহারান দেশটিকে নিশানা করেছেন। দেশটিতে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের পদ্ধতিগতভাবে হত্যা ও নিধনের দাবি করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফেব্রুয়ারিতে জি২০ মন্ত্রীদের প্রথম বৈঠকের একটিতে যোগদান করেনি। এ সময় এটিকে ‘মার্কিন-বিরোধী’ বলে দাবি করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে জি২০-এর আলোচ্য বিষয়গুলোয় ঐকমত্য নিশ্চিত করা ও একটি যৌথ চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না।
প্রস্তুতিমূলক কাজে জড়িত প্রতিনিধিরা বলেন, আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিরা বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। ট্রাম্পের মিত্র প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলিও এই সম্মেলন বয়কট করছেন।
অক্টোবরে এক এশীয় আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে লি বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও বহুমেরুত্ব অপরিবর্তনীয়।’
রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ম্যাক্সিম ওরেশকিন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না।
ব্রাজিলের বেলেমে কপ-৩০-এর নির্ধারিত সমাপ্তির পরদিনই এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। কপ-৩০-এর চূড়ান্ত আলোচনা জোহানেসবার্গে আলোচনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভি২০ভুক্ত দেশসমূহ