‘আমি ছোটবেলা থেকে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চলছি। আমি অবহেলিত।এ জন্য পড়াশোনাও করতে পারিনি। তবে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে অবহেলা করেনি। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে তারা আমাকে সেলাই শেখার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর আজকে দিল একটি সেলাই মেশিন। আমি এই সেলাই মেশিন দিয়ে আয় করে আমার অসুস্থতাকে জয় করতে চাই। ’ কথাগুলো বলছিলেন চিলমারী উপজেলার ব্যাপারীপাড়া এলাকার শরিফের হাট গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা খাতুন।
সম্প্রতি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ৬০ জন অসচ্ছল নারীর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
তাদের সঙ্গে মাজেদা খাতুনও পেলেন সেলাই মেশিন উপহার।
শারীরিক উচ্চতা মাত্র তিন ফুট হলেও মাজেদা খাতুনের বয়স ৩৫ বছর। পড়াশোনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর অভাব-অনটনে আর পড়াশোনা হয়নি তাঁর। ভাই-ভাবির সংসারে কোনোভাবে টিকে আছেন মাজেদা।
তবে মাজেদা সংগ্রামী নারী। সে জন্যই তিনি প্রচেষ্টা করছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।
সেলাই মেশিন পেয়ে মাজেদা বলেন, ‘আমি কামিজ, সালোয়ার, পেটিকোটসহ নানা ধরনের জামা বানাতে পারি। গ্রামে মেশিন নিয়ে বাড়িতে বসলে কাজ আসে। একটি পেটিকোট বানালে আমি পাব ৫০ টাকা। সালোয়ার-কামিজ বানালে পাব ২০০ টাকা। কাজ আসবে। আর এই কাজ করে আমি আমার হাতখরচ চালাতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ। তারা যেন সব সময় এমন ভালো কাজে আমাদের পাশে থাকে। আমরা যারা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে চলি, বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের দায়িত্ব নিক, তাহলে আমরা আরো ভালো থাকব। -বাংলানিউজ