বর্জ্য থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উৎপাদনে আসার মধ্য দিয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে নাম লেখালো বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতিদিন সাড়ে ১১ টন বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে। বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। পাশাপাশি পরিশোধিত হচ্ছে ১২০০ লিটার ডিস্টিল্ড ওয়াটার ও ১৫০০ কেজি অ্যাশ (ছাই)।
উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ধরনের প্রকল্প বাড়লে ক্যাম্পজুড়ে পরিবেশ দূষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে দাবি পরিবেশবাদীদের।
এটি একটি পাইলট প্রকল্প উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খা বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো প্রকল্পটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তাবয়ন করা হচ্ছে। যাত্রার পরপরই সুফল পেয়েছি। দাতা সংস্থা এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে পরবর্তী সময়ে এ প্রকল্প আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ২০২১ সালে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
তিনি আরও বলেন, ৬০-৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও এখন প্রতিদিন ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, ১০০০-১২০০ লিটার পানি এবং ১২০০-১৫০০ কেজি অ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। যদি প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু করা যায়, তাহলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাইরে সরবরাহ করার পাশাপাশি উৎপাদিত পানি বিক্রি করেই মাসিক ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। একইসঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে এখানে প্রায় এক লাখ মানুষ সরাসরি সম্পৃৃক্ত থেকে উপকার পাবেন বলেও উল্লেখ করেন এ প্রকৌশলী।
তিনি বলেন, সেনেগাল ও ভারতের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থাপন করা হয়েছে প্ল্যান্টটি। প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক হওয়ায় ম্যান পাওয়ার খুবই কম লাগে। এছাড়া প্ল্যান্টটি চালাতে বাইরের কোনো বিদ্যুৎ লাগে না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকেই এটি চালানো হয়। এটিকে বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা গেলে আয় করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।