দক্ষিণ কোরিয়ায় আজ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে মার্শাল ল’ ঘোষণা ও তা থেকে সৃষ্ট ছয় মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুজছে কোরিয়ানরা।
সিউল থেকে এএফপি জানায়, সিউলের মুনরে-ডং এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোর ৬টায় কিছু প্রবীণ ভোটারকে ভোট দিতে দেখা যায়।
৮০ বছর বয়সী ইউ বুন-ডল বলেন, ‘আমরা প্রথমে এসেছি কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই আমাদের প্রার্থী জয়ী হোক।’ তিনি রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটারদের এক-তৃতীয়াংশ আগেই ভোট দিয়েছেন। আগাম ভোটের জন্য বরাদ্দ দুই দিনেই তারা ব্যালট জমা দেন।
সবশেষ গ্যালাপ জরিপে দেখা গেছে, লিবারেল প্রার্থী লি জে-মিয়ং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছেন—৪৯ শতাংশ ভোটার তাকে সেরা প্রার্থী হিসেবে দেখছেন।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সোক-ইওলের দল পিপিপি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিম মুন-সু পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ সমর্থন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ইউন সোক-ইওলের বিতর্কিত মার্শাল ল’ ঘোষণার পর সৃষ্ট সংকট এই নির্বাচনে ভোটারদের মূল উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম কয়েক মাসে দেশটি কার্যত নেতৃত্বহীন ছিল।
সূকমিয়ং নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কাং জু-হিউন বলেন, ‘এই নির্বাচনকে অনেকেই আগের সরকারের ওপর গণভোট হিসেবে দেখছেন। মার্শাল ল’ এবং অভিশংসনের ঘটনা কেবল মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ভোটারদের নয়, বরং রক্ষণশীল ঘরানার সমর্থকদের ভেতরেও ভাঙন ধরিয়েছে।’