অতি-ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি-এএফডি দলকে জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা শুক্রবার (২ মে) ‘প্রমাণিত চরমপন্থী গোষ্ঠী’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউরোপীয় দেশটির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
রুবিও এক্স-পোস্টে লিখেছেন, জার্মানি তার গুপ্তচর সংস্থাকে বিরোধীদের ওপর নজরদারি করার জন্য নতুন ক্ষমতা দিয়েছে। এটা গণতন্ত্র নয় – এটা ছদ্মবেশে স্বৈরাচার। জার্মানির উচিত পথ পরিবর্তন করা।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী এএফডি চরমপন্থী নয়, বরং দলটি ‘মারাত্মক উন্মুক্ত সীমান্ত অভিবাসন নীতির’ বিরোধিতা করে।
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরও এক্স-পোস্টে রুবিও’র মন্তবযের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ‘এটা গণতন্ত্র। এই সিদ্ধান্ত একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীন তদন্তের ফলাফল।’
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তর আরও বলেছে, এটা স্বাধীন আদালতের চূড়ান্ত বক্তব্য। আমরা আমাদের ইতিহাস থেকে শিখেছি যে, ‘ডানপন্থী চরমপন্থা’ বন্ধ করা দরকার।
এর আগে, জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশন (BfV) ঘোষণা করে, তিন বছর তদন্তের পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, এএফডি দলটি একটি ‘প্রমাণিত চরমপন্থী গোষ্ঠী’। তারা ‘নাগরিকত্বের জাতিগত-ভিত্তিক সংজ্ঞা’ প্রচার করে এবং দেশের ‘গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে’ ক্ষুণ্ণ করে।
এদিকে, সাম্প্রতিক জনমত জরিপে অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির প্রতি সমর্থন রেকর্ড ২৬% এ পৌঁছেছে। ফেব্রুয়ারির আগাম নির্বাচনের পর থেকে অভিবাসন বিরোধী এই দলটি পাঁচ শতাংশ পয়েন্ট লাভ করেছে, যা প্রথমবারের মতো জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ‘ফোর্সা’র সর্বশেষ জরিপে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সিডিইউ/সিএসইউ ২৪% সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জয়ের তুলনায় ৪.৫ শতাংশ পয়েন্ট কম তাদের। এছাড়া তাদের জোটের অংশীদার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি) ১৪% পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা তাদের নির্বাচনের ফলাফলের তুলনায় ২ শতাংশেরও বেশি পয়েন্ট কম।