অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক পোস্ট জানিয়েছেন, নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। ফাইবার@হোমের ম্যানেজমেন্টের বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে দেশে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রথম এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স পায় ফাইবার অ্যাট হোম। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বৃহত্তম ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফাইবার@হোমের বরাত দিয়ে বলেছেন, যে নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে সেগুলো হলো—
১. ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) পর্যায়ে ১০ শতাংশ
২. ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং
৩. এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য কমাবে ফাইবার@হোম।
এর আগে আইএসপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবির পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবি ইন্টারনেট দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
এরও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি সব আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।
এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।