আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিশ্রুত ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পাঁচটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। যার পরিমাণ এখন পর্যন্ত ৩৬০ কোটি ডলার। কিন্তু ষষ্ঠ কিস্তির বেলায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মিলছে না। তবে তার ধারণা, নির্বাচিত সরকার এলে ষষ্ঠ ও সপ্তম কিস্তির অর্থ এক সঙ্গে ছাড় করা হবে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের প্রস্তাবে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা বলেছি, এই মুহূর্তে আমাদের ঋণের কিস্তি প্রয়োজন নেই। তারা আগে রিভিউ করুক। ফেব্রুয়ারিতে নতুন মিশন এলে নির্বাচিত সরকার কতটা ঋণ চায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করবে। এরপর ঋণ ছাড় হবে।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, তোমরা যা করছো ঠিক পথে করছো। তবে তাদের কিছু পরামর্শও আছে—বিশেষ করে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে অনেকে ট্যাক্স দিতে চান না, আবার এনবিআর দুই মাস বন্ধ ছিলো। ফলে রাজস্ব সংগ্রহ কম হয়েছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতেও তারা পরামর্শ দিয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগামী সরকারকে আইএমএফের ঋণ, সংস্কার, শর্ত ও অন্য বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ তৈরি করে দেবো। পে কমিশনের বিষয় আছে, এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করি, সার্বিকভাবে একটি ভালো পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এসময় কৃষি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে ধান চাল কেনা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ৩৪ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকা কেজিতে সিদ্ধ চাল, ৪৯ টাকা কেজিতে আতপ চাল কেনা হবে। এই কার্যক্রম চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
অর্থ উপদেষ্টার দাবি, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি ভালো আছে।