ঢাকার নবাবগঞ্জে ৭ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে নাজিম নামের এক সিএনজিচালক। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে বুধবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই এলাকার এক প্রবাসীর মেয়ে। প্রতিবেশী ধর্ষক নাজিম শিশুটিকে বাড়ির গোসলখানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে আজ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ধর্ষণের খবর স্থানীয় জনতা ধর্ষক সিএনজিচালক নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশে দেয় বলে জানান তিনি।
শিশুটি বাড়ির পাশের একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে বুধবার দুপুরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলা হয়েছে।