আজ বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খলিলুর রহমান বলেন, করিডর দেয়ার ব্যাপারে আমেরিকা ও চীনের কোনও চাপ নেই। করিডর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সাথেও সরকারের কোনও দ্বিমত নেই।
সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এ উপদেষ্টা দাবি করেন, করিডর ইস্যুতে প্রচারণা বাংলাদেশ থেকে হয়নি। এটি প্রতিবেশী দেশের থেকেই প্রচারণা চালানো হয়েছে।
খলিলুর রহমান বলেন, আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা এইখানে কোনো করিডোর সৃষ্টি করে সেখানে কোনো ধরনের লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন নাই। যেই প্রয়োজন আছে, সেখানে ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আরাকানে কোনো সাহায্য সহযোগিতা, জরুরি উপকরণ অন্যান্যা সাপ্লাই রুট দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ তো রোহিঙ্গাদের ৭-৮ বছর সাহায্য করছে। তারা বললেন, আমাদের কিছুটা সাহায্য করবেন যাতে আমরা ওপারে নিয়ে যেতে পারি।
তিনি বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। করিডোর তৈরির সিদ্ধান্ত নিলে তার পূর্ণ দায়-দায়িত্ব জাতিসংঘের ওপর থাকবে, বাংলাদেশ কেবল সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও জানান, রাখাইনের ৯০ শতাংশ এলাকা বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সে কারণে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, আরাকান আর্মিও নীতিগতভাবে প্রত্যাবাসনের পক্ষে একমত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া এগোবে না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে এই সংকট ও সম্ভাব্য করিডোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা হতে পারে