আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ তথ্য জানান।
রাজনাথ সিং এক্স-এ দেওয়া একটি পোস্টে জানান, এই নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পরিসর ২ হাজার কিমি এবং এতে উন্নত প্রযুক্তি সংযোজিত।
তিনি বলেন, “বিশেষভাবে ডিজাইন করা মোবাইল লঞ্চার থেকে এটি প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ করা হলো। ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই রেল নেটওয়ার্কে চলতে সক্ষম, যা ব্যবহারকারীর জন্য দেশব্যাপী গতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং কম সময়ের মধ্যে উৎক্ষেপণ সম্ভব, সঙ্গে দৃশ্যমানতাও কম।”
সিং আরও বলেন, “এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভারত সেই সীমিত সংখ্যক দেশের মধ্যে এসে গেলো, যারা রেল-মোবাইল সিস্টেম থেকে ক্যানিস্টারভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।”
আগস্টে ভারত সফলভাবে অগ্নি-৫ পরীক্ষা চালায়, যা পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মোবাইল প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ৫,০০০ কিমি পর্যন্ত পরিসরসহ এটি এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে এবং ইউরোপের কিছু অংশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।
দক্ষিণ এশীয় দেশটি সামরিক সরঞ্জামে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য রাখছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যেমন নির্ভয় সাবসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যার পরিসর ১,০০০ কিমি এবং এটি দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সরঞ্জামের জন্য শক্তিশালী সংযোজন। এছাড়া সুপারসোনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি।
ভারত ইতোমধ্যে অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৪ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। যেগুলোর পরিসর ৭০০ থেকে ৩,৫০০ কিমি।