সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এতে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ছিলো ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুবার ৯৮ শতাংশ শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়।
এবার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।